বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশে অর্থনীতির প্রত্যেকটি সূচকই এখন নিম্নগামী। দেশের আর্থিক খাত লোপাট করাতে সরকার ক্রমাগতভাবে সহযোগিতা করে এসেছে। কারণ এই লুটপাটের হোতারা হচ্ছেন সবাই সরকারের তল্পিবাহক। মেগা প্রজেক্টগুলোর মেগা দুর্নীতিতে দেশকে এক অন্ধকার খাদের প্রান্তে টেনে নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলাদেশকে দেউলিয়া করে দেওয়া হয়েছে।’

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, ‘যুবদলের ফেনী জেলার সভাপতি জাকির হোসেন জসিমকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আটককৃত অবস্থায় তার ফেনী জেলার নিজ বাড়িতে হাজির করে পরিবার-পরিজনের সামনে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পূর্ব পরিকল্পিভাবে বাসা থেকে বোমা ও অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে মিথ্যা এবং বানোয়াট মামলায় কারাগারে প্রেরণ করে।’

এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জাকির হোসেন জসিমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিরোধী দলের অস্তিত্বই যেন সরকারের কাছে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা সাজানোর জন্য পরিকল্পিত ঘটনা তৈরি করা ইত্যাদি অপকর্মই এখন সরকারের একমাত্র কর্মসূচি। আর এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সরকার নির্লজ্জভাবে প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহার করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ফেনী জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিমকে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুঃশাসন জারি রেখেই অবৈধ শাসকগোষ্ঠি ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এই জন্য তারা বিরোধী দলকে দমন-পীড়নের মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। নিজেদের টিকে থাকার জন্য ক্ষমতাসীনদের হাতিয়ারই হচ্ছে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত। এরা জনগণকে নিজেদের শত্রুপক্ষ ভেবে তাদের সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এখন আওয়ামী কারাগারে বন্দি। নাৎসিবাদী শাসনের বিষাক্ত ছোবলে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান নাৎসীবাদের রাজত্বে প্রত্যেকেই জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে আছে।’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘বর্তমান শাসকগোষ্ঠী অনাচার আর কুর্কীতিতে দেশকে ভরিয়ে দিয়েছে। ক্ষমতাসীনদের লুট, হরিলুট, টাকা পাচার, গুম, খুন আর মহাদুর্নীতির কাহিনী এখন মানুষের মুখে মুখে। দেশের মধ্যম আয় ও নিম্ন আয়ের মানুষ জীবন ধারণের সব অবলম্বন হারিয়ে ফেলেছে।